আমরা আমাদের চারপাশের যে দৃশ্য দেখি সেগুলো আমাদের কবিতার বিষয় হয়ে ওঠে। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বিষয় সীমিত, নির্দিষ্ট। একই দৃশ্য বা বিষয় কবির কাছে বিভিন্নভাবে ধরা দেয়। তার কারণ আমাদের পৃথক পৃথক দৃষ্টিকোণ। বিভিন্ন মানুষের মনের ভাবনা, অনুভূতিশক্তি, কল্পনাশক্তি ও জ্ঞানের বিভিন্নতার জন্য একই দৃশ্য বিভিন্ন মানুষের চোখে বিভিন্নভাবে ধরা দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মহাকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো মেঘপুঞ্জ দেখে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন আকৃতি কল্পনা করেন।
এতে দৃশ্য এক, দেখার দৃষ্টিকোণ বিভিন্ন। দৃষ্টিকোণের এই বিভিন্নতার জন্য একই দৃশ্য বিভিন্ন কবির চোখে বিভিন্নভাবে ধরা দেয়। তারা কোনো দৃশ্যকে নিজস্ব দৃষ্টিকোণে কবিতায় আঁকেন। ভাবনার এই বৈচিত্র্যই অনুভবের ভাষাকে বদলে দেয়।
কবির এই অনুভব পাঠক হৃদয়কে নতুন ভাষা-ভাবনায় অনুরণিত করলে সেটি কালোত্তীর্ণ কবিতা হয়ে ওঠে।