অহঙ্কার আত্মজ্ঞান লাভের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। পরমচেতনায় পৌঁছানোর প্রাথমিক ধাপ আত্মজ্ঞান লাভ। এবং তার জন্য প্রথমেই অহঙ্কার বর্জন করতে হবে। তবেই সীমার সাহায্যে অসীমকে, অনিত্যের সাহায্যে নিত্যকে অনুধাবন করা যাবে। জানা যাবে বস্তু-বিশ্বের আপাত বাস্তব সত্যের মধ্যেকার সূক্ষ্মতর সত্যকে।
প্রকৃত সত্যকে জানতে হলে যেমন অহঙ্কার বর্জন জরুরী, তেমন মায়ামায় বিশ্বের বাহ্যিক আবরণকে ভেদ করতে হবে। এরজন্য মায়াকে চেনাও জরুরী। একমাত্র মায়াকে চিনতে পারলেই তাকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। নয়তো মায়ার সৌন্দর্যের বাঁধনে, বস্তুবিষয়ের অন্তর্নিহিত অনন্ত আনন্দময় সৌন্দর্য কবির অধরা থেকে যাবে।
সংক্ষেপে বলা যায় অহঙ্কার ও মায়ার বর্জনই আত্মজ্ঞান। আর এই আত্মজ্ঞানের সার্থক অনুভূতির চরমতম ফলই পরমচেতনা।