অসাড় হাতের অসীম ধৈর্যরেখা
(১)
নির্ঘুম মস্তিষ্কের কথা লিখে রাখি
কোনও জীবনই মিথ্যে নয়
শব্দেরা জমে থাকে ঘরের ঘাড়ে।
আমার চশমা আলো চায় জেনে
আমি আলোকে খুন করার অস্ত্র খুঁজি
আলোকে খুন করার মতো
বর্তমানে কোনও সাপই সন্দীপন নয়
নির্মাণের ঘোলাটে জল, বহুদূর চলে গেছে
জল যেদিকে গড়ায় সেদিকেই নর্দমা
অকেলাসিত উল্লাসের তীব্রতায়
লেখা ছিল যেটুকু প্রবঞ্চনা
তা দিয়েই একদিন খসে যাবে আদালত
নির্ঘুম মস্তিষ্কে লেপ্টে থাকবে
ব্যভিচারি মামলা-মোকদ্দমা
(২)
শরীরের ওপর শরীর সাজাই
রি রি করে ওঠে অজস্র ধন্যবাদ
শাশ্বত রসের থেকে
মাথা তুলে কবে যে কে কথা বলেছিল
ডেকেছিল ক্ষুব্ধ মনে
তার ছায়া গোকুলে বেড়ে গেছে
এখন সে ছায়া যদিও বিশ্ববিখ্যাত
শুধু, স্মৃতিকে যেভাবে গিলে ফেলতে হয়
সেভাবেই আসলের খোঁজ
কেউই আর জানে না, জনাব
(৩)
অ্যানার্কিজমঃ গুগলইজম = ১ঃ১
এইসব লিখে ফেলেছে ভদ্রলোকের অভদ্রতা
তবুও এখান থেকে
যতদূর দ্যাখা যায় ব্যবহার
ততদূরই দৈনিক ডেটা লিমিট।
(৪)
ব্যবহারের হার যত বেড়েছে
সমহারে বেড়েছে সর্বনাশের মাত্রা
অসাড় হাত বরাবর দাঁড়িয়েছিল
পরবর্তী প্রজন্মের গাছ
আমাদের সময় যে বা যারা উত্তাল আততায়ী ছিল
তারা এখন চুপচাপ, বড়ো ধীর স্থির
ভীষণ নিয়ম মেনে চলে
ঘর থেকে খুব একটা বেরোয় না আর
তারা এখন তাদের ছেলে মেয়েদের সাথে
নীচু গলায় কথা বলে
পৃথিবীর মতো জীবনেরও অর্ধেক সকাল শান্ত