nimai-jananimai jana

জীবাশ্ম ও বাবার বুকপকেট

~ নিমাই জানা

জীবাশ্ম কঠিন পদার্থ হলেই প্রাচীন সংখ্যাগুলো ঠাণ্ডা সাংখ্যমান নিয়েই হলুদ জ্যামিতির কাছে শুয়ে আছে সমান্তরাল বিন্যাসে তাদের শরীরের ১৩  ডিগ্রির গভীর জ্বর ছিল এই উষ্ণমন্ডলে পাশাপাশি শুয়ে থাকার পর সকলেই গর্ভপাত ঘটায়না
যে ব্রততী মানুষেরা রাতের অ্যালকোহলিক দোকানের সামনে এসে তিনটি ঘুম রোগের ঔষধ ঠোঁটের নিচে রাখে , তারাও জননতন্ত্র হীন চৌকাঠ নিয়ে উধাও হয়ে যায় রাতের কৌণিক ঘরের দিকে, 
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত নামক এক প্রাচীন অমিতাভ পুরুষ আমার ভাঙ্গা আয়নার পাশে এসে বসল বিয়োগান্ত কবিতার বিলীয়মান রং মেখে , আমি বাবা জামার বুক পকেটের দেশলাই দ্বিখণ্ডক অথবা জিংক সায়ানাইডের লাল জরায়ুর মুখ ,
কোনদিন অসীম দৈর্ঘ্যের পাশে একটি স্বরলিপি তৈরীর উৎস কেন্দ্র দোকানের কাছে একাকী মৃত মানুষের টিউরিং রিডার তৈরি করছে কম্পাঙ্ক বাতাস , প্রকৃত ভগ্নাংশের মতো সবাই অভিনেতা , তাদের তিনটি পোশাক থাকে শুধুমাত্র রাত্রিকালীন ওয়ারড্রবের জন্য ,
সহস্র অঙ্গুরীমালের গরম পাজামা খুলে ঝুলিয়ে রাখি মৃত্যুহীন নৌকার মতো এখানে কোন পুরুষ ম্যাগনিফাইং গ্লাসের তলায় নিজেদের অসৎ চেহারাগুলো লুকিয়ে রাখে নৌকার দুই হাজার বছরের কোন পুরনো অসুখ ভেবে , ভিগোরা মিনিমেক্স পারফিউমের মতো চকচকে

নীল অসুখ ও একাকী করিডোর

~ নিমাই জানা

কোন নারী গর্ভপাত বিষয়ক অসুখকে নীল আলোর উদ্ভিদ বলতে পারেনা কারণ সকলের মৃত্যু একদিনে হয় না , মৃত্যু মুখাপেক্ষী
এখানে পরকীয়া পাথরকুচির গর্ভকেশর গুলোই একদিন বিদেহী কাগজ ফুলের আত্মা হয়ে প্রজাপতি নগরীর ঘুরে বেড়াবে বিষধর সাপের মত অথচ আমি এক খোকন নামক অদ্ভুত পুরুষকে নিয়ে যাব বৈকুণ্ঠ ভরদ্বাজ মুনির কাছে
আমি এবার নগ্ন হয়ে যেতেই পোষাকেরা বর্ণহীন হয়ে গেল , আমার লিঙ্গ মুণ্ডে বিষধর সাপ কামড়ে ধরেছে মধ্য প্রহরে
আমি কেবল শীঘ্রপতনের কথা ভেবে চলেছি
পেনিসিলিয়াম নোটেটাম ও ভৌতিক শরীরপুঞ্জ রেখে আসার পর রাত্রে যারা একটি দোকানের খোলা পাঞ্জাবিকে আবারো একবার কঙ্কাল ভেবে খুলে দেয় , তারাই আঁতকে ওঠে অ্যাড্রিনালিনের যোগফল গন্ধ শুঁকে
কেউ পরজীবী নয় যৌগিক স্বরবর্ণের মাথার উপর সকলেই হলুদ শাড়ি পরেছে আজ , নৃত্যের সময় পায়ের কড়ে আঙ্গুল থেকে প্রতিটি ভৌতিক হাসতে হাসতে একটি শ্মশানের কাছে এসে মিলিয়ে যায় আধখানা চাঁদ আর একটি জরায়ুমুখ রেখে

তৃণভোজী নাবিক ও রাজুর চা দোকান

~ নিমাই জানা

গতকাল স্থানাঙ্ক বিহীন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম সজনী ফুল আর তার দেহ গুলোর মতো,  আমার বাবা আসলে গভীর রাতের নাবিক তার হাতের প্রতিটি নৌকা অতলান্ত সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে এনেছে আমাদের প্রাচীন এক প্রপিতামহের বিশ্বযুদ্ধ
প্রাচীন দরজার হৃদপিণ্ডের উপর আমি শুক্রাশয়ের মতো ঝুলে থাকা একগুচ্ছ অন্ধকারের সাথে হাঁটুমুড়ে খেয়েছিলাম কাঁচা হলুদ রঙের পৌনঃপুনিক সমগ্র
আমি কেমন অস্থির হয়ে যাই খুব কম সময়ের জন্য , আমার নারী ঘুমের ভেতর একটি প্রকট শব্দ করে এই সাপেদের উপত্যকায় নেমে , পরীরা এসে মিলিয়ে যায় রেটেল স্নেকের পা ভেজানো জলের ভেতর মুখ রেখে
আমি প্যারাফিনের থালা থেকে রজনীগন্ধার গর্ভকেশর নিয়ে গলায় অ্যালকোহল ঢালছি রাজুর চা দোকানে দাঁড়িয়ে
নারায়ণ বল একটি পাললিক পাথরের নাম হতে পারে না , নাঙ্গলকাটার অবতল ভূমি ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে দেখেছি এখানে প্রতিটি মানুষের উদরদেশে একটি কালো রঙের বৃশ্চিক ঘুরে বেড়ায়
কোন মানুষ একবার সালফিউরিক দানাকে জড়িয়ে ধরলেই তারা নোনা পাথরের ঈশ্বরী হয়ে যায় খেয়াঘাটের পর

মিথোজীবী নারী ও শালগ্রাম চোখ

~ নিমাই জানা

প্রতিটি নারী একাকী বেল পাতার মতো তিনটি পথ নিয়ে কালিদহ মুখে নেমে যায় , তারা কখনও খেয়া ঘাটে এসে রতিচক্রের কথা ভাবে না
কারণ এখানে অজস্র কালো রঙের পাথর অজগরের দাঁত হয়ে গেছে , কখনো নিধুবনের বিছানায় একাকী ক্রোমোজোমেরা বিশল্যকরণী পাতাবাহার রোপন করে দেওয়ার পর নিজের রেচন যন্ত্রগুলো ঘর্মাক্ত হয়ে উঠবে এই প্রজননকালের উর্বরক্ষেত্রে
৩৩ ডিগ্রি একটি অসুখের নাম হতে পারে হয়তো
পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ বকের শিরদাঁড়ার দিকে চেয়ে দেখেছি জীবিত স্তম্ভমূল থেকে নেমেই সকলে কাল্পনিক ঝুলে থাকে সাপের মতো আমি কতবার লিবিডো অসুখের কথা ভুলে বিষাদ স্তন খেয়েছি তৃতীয় বন্ধনীর মতো ,
আমার শীত লাগে জড়িয়ে ধরি পাগল নারীকে মিথোজীবী চন্দ্রগ্রহণ দিনে
আমার রক্তাক্ত পোশাক চাঁদে মিলে দেওয়ার পর এক প্রবাল পাথরের বাতাস বয়ে গেলো আমার দরজায় থাকা ময়ূরীর কাছে তারা সকলেই স্থির চোখ নিয়ে দেখে যাচ্ছে আমাদের পরকীয়া আর বিধ্বংস পাথর খেলা
রাত শেষ হলেই আমরা সকলেই পাথরের শালগ্রাম হয়ে যাই,

নিষিদ্ধ মেডিকেল অথবা গর্ভপাত রোগী

~ নিমাই জানা

আমাদের হাতে কোন অস্ত্র থাকে না বড় আর হলুদ কংক্রিট রাস্তা ধারে আমার বাবা বারবার ভ্রূণ বৃত্তান্ত পড়িয়েছিল আমাদের মাকে অথচ আমরা একটিও গ্রস্ত উপত্যকা খুঁজে পেলাম মদ্যপ ঘোরে
না কোনদিন ভিস্কোডিনে অথবা নেক্সিটো প্লাস ঘোড়াটিকে নিরাময় ভেবে আমার শরীরের চারপাশের কৌণিক বিন্দুতে স্থাপন করিনি আমার নারী আমাকে সন্দেহ করে প্রজাপতির সমবায় নগরীর মতিহার নিয়ে , মর্গে থাকা একটি সেবিকাই ডপলারের স্পন্দন শুনিয়েছিল তার নাম কাজল মল্লিক বললেই আমি লজ্জা পাই
আমি গলার কাছের বোতামটা আলগা করি
পায়ের ক্ষত মুখের তিন ইঞ্চি মাটির উপর দিকে থাকে কঙ্কালের ফসফরাস দাঁত , তেরোটি অপ্রকৃত ভগ্নাংশ নিজেরাই হেসে ওঠে এক পরজীবী ছায়ায়
তারা নামের পুরুষ কখনও একটি মেডিকেল শপের নিচে দাঁড়িয়ে নিজেদের নিষিদ্ধ ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরতে পারে না ,কারন তার লুব্রিকেটেড কিনতে খুব লজ্জা লাগে গর্ভপাত রোগীদের মতো
আমি তবে কি একটি সন্তানের পর সব ইস্ট্রোজেন পাথরকুচির মতো উড়িয়ে চলি বায়বীয় করে , সকল শ্বাসবায়ুকে ভালবাসেনা তাই আয়নার কাছে দাঁড়াতে নেই , আয়নার ভেতর একটি গভীর হার্টের অসুখ আছে
ঘরের ভেতর ভাঙ্গা আয়নাটি আসলে গর্ভকেশরের রক্তজালক মাত্র

একটি আততায়ী পোশাক ও ওভরাল এল

~ নিমাই জানা

প্রতিদিন ইকোস্প্রিন ওষুধ খাওয়ার পর উচ্চরক্তচাপে মিশে যাওয়া সাদা রক্ত কণিকার গায়ে অজস্র উদ্ভেদ দেখা যায়
সূর্যমুখীর চারা গাছ ভেঙে ভেঙে আমাদের কোকিলেরা আজ ঘরমুখো বিবস্ত্র পুরোহিত
একটি বস্ত্রালয়ের নারী প্লাস্টিক নারীর সব উপাংশ রেখে যায় আমাদের কঙ্কালের নিউক্লিওপ্লাজমের কাছে
আমাদের কোন হিমশীতল ক্ষেত্র নেই , আজ দ্বারকা নগরীতে একবার ইন্দ্রপ্রস্থের পত্তন হোক
ঈশ্বর আমি ও বাবা একসাথে বিষ খেয়েছিলাম চৈতন্য পুরুষের সাথে , আমাদের জামার ভেতর আলাদা তিন অসুখ ছিল
বৈরাগ্য ,ক্রোধ ও পাটি গণিত
হত্যা করার পর এখন ভ্রূণের শরীর থেকে দারুচিনির একটি গন্ধ উড়ে আসে তাকে আমি হলুদ রং দিয়ে ঢেকে রাখি তিনটি পেন্ডুলাম ঘড়ির নিচে
২০০ মিলিগ্রামের ওভরাল এল আর চার সপ্তাহের ভ্রুণ পরস্পর সমরেখ বিন্দুতে অবস্থান করে আছে
তারা সকলেই ৪ নম্বর কেবিনের ধারালো ফরসেপের ওপর কঙ্কাল বিন্দু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে
আবহাওয়াবিদ ক্লোরোপ্লাস্টিড সজীব মানুষগুলোকে আপাদমস্তক লগারিদমের জটিল শিরাবিন্যাসে ঢুকিয়ে রাখে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত
আমরা সকলেই এ নেগেটিভ রক্তের সন্ধানে চললাম নীলাচলের দিকে , আমাদের শরীরে কালো রঙের আততায়ী পোশাক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *