nimai-jananimai jana

ছিন্নমস্তা চারাগাছ ও মুরারীচকের ল্যাটেরাইট অসুখ

~ নিমাই জানা
ছিন্নমস্তা অশ্বত্থ গাছের কাছে এসে দাঁড়ালে কোন প্রস্তর যুগের ছায়াপথ উড়ালপুলের মোলেস্টেশন নামক রজনীগন্ধা গুঁজে দেয় তৃতীয় নক্ষত্রের ভেতর

ল্যাটেরাইট অসুখের ভেতর একটি পাঁজর বিহীন নারী হেঁটে গেছে আদিগন্ত জ্যোৎস্নার দিকে নির্জীব রঙের অন্তর্বাস মেলে রেখে আমি বসন্তকালীন সব অসুখ আর কখনোই লিখি না আমার আভ্যন্তরীণ রুদ্রদিনে বৃত্তাকার রেতঃপাত চিহ্নগুলোকে গুলোই জড়িয়ে ধরে বৈধব্য ফুলের মতো অঙ্কুরিত মূলত্র শাখায়

এন্টিহিস্টামিন মেলে দেয় বিষন্ন দুপুরের প্রাগৈতিহাসিক মজ্জা আমি কালো রঙের রৈখিক জিভের তলায় সাদা দাঁত মেলে রাখি দুপুর একটি শরীরের মধ্যমা খন্ডক মাত্র
কলঙ্কের মতো কাঠের স্ত্রীলিঙ্গের নয়ন তারা ফুলের ওপর ঠোঁটে এবোরশন জনিত কোন নিষেধাজ্ঞা আল্ট্রাসোনিক সাউন্ড থেকে নেমে আসেনি আমার ফিনকি দেওয়া রক্তের পচন গোলাপ
শিরদাঁড়ার নিচ থেকে একটি কৃত্রিম রজঃস্রাবের পায়ে হাঁটার দাগ পড়ে ছিল , আমরা সকলেই কম্বোজের মাংসল স্তনের খাদ্যসামগ্রীর আয়োজন বসিয়েছি একটি বিবিধ জতুগৃহের ভেতর

বৈকুন্ঠপুরে এলে আমার ০.১ পাটিগণিত জলে ভিজে যায়

স্বয়ম্ভু শ্মশান ও মিথুন শরীরের বাবা

~ নিমাই জানা
শ্মশানের কাছে এসে দৈনন্দিন ধুয়ে দিচ্ছি আগুন পোড়ার দাগ

কোন অবৈধ তাপমাত্রায় মেপে দেওয়া গ্যালভানাইজ লোহার রেলিংয়ের ভেতর একটি কশেরুকাময় স্নায়ুরজ্জু বেরিয়ে আসা সাপগুলো হোয়াটসঅ্যাপের দাঁত নিয়ে নাচছে নীলাচল অক্ষরেখায়
দশমিকের ভেতর আমি প্রতিটি মানুষকেই শুকনো পাতা জড়ো করতে দেখেছি আগুনে পোড়ানোর জন্ম ঘরে
প্রতিটি মিথুন সমন্বিত স্বয়ম্ভু শরীরের ভেতর একটি করে তৃতীয় দরজা আছে , বাবা সব দিন সাপকে হত্যা করার জন্য একটি গ্যাসীয় তরোয়াল ব্যবহার করত

তরল অসুখ গলাধঃকরণ করলেই অ্যালকোহলিক বলে মনে হয়
আমি সব হিবিস্কাস ভগ্নাংশদের একরৈখিক অশরীরী মানুষ বলেই জানি
সব কবিতার শেষে যে ছেদচিহ্নটি আমাকে রজঃস্রাব গোলা বিমুগ্ধ তীর্থক্ষেত্রে নিয়ে যায় , সেখান থেকে ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসে ইস্ট্রোজেন পাহাড় ,
তারা সকলেই একমুখী নিশাচরের মতো মনে হয় একটি মায়াময় অন্ধকারের নিচে দাঁড়ালে , দৈবাৎ চিহ্নের কোন প্রতীক নেই
তৃষিত পুরুষের আয়ুর ভেতর যে ভৌগলিক ক্ষেত্র ভেঙে দেয় নিজের গতিশক্তি তাদের পিঠে দুমুখো অস্ত্র রাখে ,  তারা কেবল হৃদপিন্ডের গোপন করিডোরে হরমোনাল জনিত সাবকিউটেনিয়াস কঠিন পাথর গুলো মাথায় নিয়ে স্নান করে রাতের পবিত্র মানুষগুলোর সাথে , সকলের শরীরের ভেতর ক্ষয়জাত পর্বত আছে
রাত্রির পরে আরো একবার মৃত্যু নেমে আসে ভেজা রাত্রির শ্যাওলা বিষয়ক মৃত্যুর সন্ধিবিচ্ছেদ গায়ে দিয়ে

আমি প্রতিদিন অবৈধ অসুখের গন্তব্য পাল্টে ফেলি

অ্যানামেলিক কশেরুকা ও অদ্বৈত চিহ্নের সিংহাসন

~ নিমাই জানা
ভৃগু সন্তানের পিঠে একটি তৃতীয় মস্তিষ্কের হিউমেরাস পুত্রসন্তান আঁকড়ে ছিল তৃতীয় জনুক্রমের অ্যানামেলিক কশেরুকা নিয়ে

আমি পিচ্ছিল কালো রঙের অদ্বৈত চিহ্নের উপর বসে থাকি সিংহাসনের অসুখ নিয়ে
একটি ধারালো তরোয়াল আমার বিছানার থেকে নেমে তৃতীয় লিঙ্গের সাথে নেচে বেরিয়েছে ঘরময়
উনুনের চারপাশে ফিজিক্যাল সাইন্সের খাতায় ইবন বতুতা ময়ূরাক্ষী নদীর চর হয়ে বেড়িয়েছে পালকহীন দৈর্ঘ্য নিয়ে
একটি জিলেট গার্ডের ভিসেরা খাওয়া রৈখিক পুরুষেরা সাদা মানুষের পিঠে আজীবন মহাকাল হয়ে শুয়ে আছে

আমি সংহার চিহ্নের ওপর তৃতীয় কবন্ধ রাশি সমর্থন করি
দক্ষিণ বাতাসের ফেরোমেন পালকে গুঁজে দিয়েছি নিয়মিত পাতাবাহারের পূর্ণচ্ছেদ আমার অসদবিম্ব , নিজেকে হত্যা করতে শুধু চন্দন কাঠ লাগে
দাহক্ষেত্রে যারা নিয়ে যায়  তাদের ইউরো ব্যাগে কালো রং-এর তিল গাছ গজিয়ে উঠেছিল
আমি লিটমাস পোশাক খুলে রাখি নরম সবজি ক্ষেতের ভেতর আধারের অসুখ থেকে বীজগণিতের কৌটিল্য উঠে আসেন দ্বিধাতব অসুখের মত বটগাছের স্তম্ভমূল মুখে পুরে দিয়েছি ,

আমি এক প্রাচীন রক্তচোষা জানালার থার্ড ফিঙ্গার

একগুচ্ছ রাধা ও ভিনিগার চাঁপাতলা

~ নিমাই জানা
লিভার সিরোসিস নামের পালকটি আমাকে বসন্তের কবিতা লেখার জন্য একগুচ্ছ রাধা নামের গোপিকা বৃন্দকে পাঠিয়ে দেয় নরম বাসস্থানের দিকে

তার দিকে মুখ করে নীরব অঙ্কুরোদগম নারীটি মেগাস্থিনিসের ডান বৃক্ষ থেকে উড়ে যায় সৌরভ বর্ণের চাঁপাতলা মাঠের দিকে
এখানে প্রতিটি জমির অনুর্বর পোশাকে রৈখিক বন্ধন আটকে আছে
কাঁচের আকাশের ভেতর ভিনিগারের ঠোঁট কাল্পনিক ভ্রূণের ন্যায় অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি হয়ে যায় , রাতের বেলা যাদের ঠোঁট গুলো চকচকে আমি ক্রমশ তাদের সাথেই অবাধ্য ইছামতির পাশে এসে বাঁশির ভেতর লিকলিকে সাপের মত প্রজনন ঘটে চলি এককহীন রাশিচক্র দিয়ে
বিবিধ সেবা সদনের ভেতরে দাঁড়িয়ে পড়া অজস্র জলছাপের ময়ূরাক্ষী একটি অসুখের কাগজ নৌকা ভাসিয়ে দেয় ইছামতীর তীরে নৌকার বিষধর ছায়াকে সেন্ট্রিওল ভেবে
এক সম্রাজ্ঞী মার্কা তাল গাছের তলায় দাঁড়িয়ে কিছু লাউডগার জীবাশ্ম দেখে ফেলে প্রাচীন নারীর স্তন কথা

পুংকেশর চক্রগুলো শিমুল বাগানের নির্জীব সন্ন্যাসীর আয়তক্ষেত্র মেপে নিচ্ছে রুদ্রাক্ষ ডগা দিয়ে

শীঘ্রপতন ও অগ্ন্যাশয় কথা

~ নিমাই জানা
ভস্মাসুর গজিয়ে ওঠে মহেশ্বর বৃক্ষের গলায়

আমি নিরপরাধ হয়ে আমার ভেতর থাকা পাইন গাছের মত সব ব্যক্তবীজী চিরহরিৎ আগুনের পাশে উলঙ্গ হয়ে লিঙ্গ উঁচিয়ে থাকি মহাবৃত্তের দিকে মুখ করে
আমি কালপুরুষের সাদা রঙের বৃষ্টিকে ফেলে আসি কবর মাটিতে
উলঙ্গ শরীর শ্মশানের মাটির তলায় চাঁদ বৃক্ষ রোপন করে তুলসী গাছের ১৯৯ পুরুষের কাল্পনিক অবয়ব নরম কাদা মাটি দিয়ে , অজস্র হাড় , গ্রন্থি নাভিদ্বয় , বৃক্ক , জনন গ্রন্থি ডান পকেটে রাখলেই ভারি হয়ে আসে নর্মদা ও মন্থকূপ
সুপুরুষদের সাথে অজস্র কথা বলে চলি রাতের শীঘ্রপতন জলে ভেজা সিংহের মতো
আমার বাড়িটি প্রাচীন অগ্ন্যাশয়ের মত

বাবা এক অমৃত বর্ণের নিম গাছের গোড়ায় এলে দেখি মুরারীচকের মানুষেরা কঙ্কাল মাথায় নিয়ে হিউমার শরীরের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে বৃশ্চিক লগ্নের পুরুষদের মতো
আমার শরীরের ভেতর কোন ভৌত রাশির একক ছিলনা অস্ত্রোপচারের পর , নৈশভোজের প্রোতাশ্রয় আফিম দানা আদিম পাষাণ অহল্যার পাশে রেখে এসেছি নিউমাটোফোর জলে ভেজানো প্রশাখার নিচে
আমি সেফিক্সিম দানাগুলোকে ভৌত চিহ্নের উপর রাখতেই আমাকে বিবস্ত্র করে গেছে পাশের বাড়ির আয়না
আমার বাড়ির ছাদে এক আকাশ তুলো জমে আছে
আমি পর্ণমোচী ছায়াপথের অলিন্দ ঈশ্বরকে ধরে ধরে খাচ্ছি

ঋণাত্মক ১০০ ডিগ্রি কৌপিন বস্ত্রালয়ে এলে সকলের পায়ের নিচে এক প্রকাণ্ড ঘন্টা বাজে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *